1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

হেফাজতে ইসলামের সিলেটের নেতাদের উপর কড়া নজরদারি রাখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

  • Update Time : বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৮৭ Time View

শাহিন আহমদ,সিলেট জেলা প্রতিনিধি:

হেফাজতে ইসলামের সিলেটের নেতাদের উপর কড়া নজরদারি রাখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিশেষ করে নগরীর কয়েকটি এলাকা, সুনামগঞ্জের শাল্লা, ছাতক ও দিরাইসহ কয়েকটি স্থানে বিশেষ নজরদারি চলছে। যেকোন ধরনের নাশকতা ঠেকাতে নগরের ৬ থানাসহ অন্যান্য থানায় স্থাপন করা হয়েছে লাইট মেশিনগান পোস্ট বা নিরাপত্তা চৌকি। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম বলেছেন, শাল্লা-ছাতকসহ জেলার সর্বত্র পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। হেফাজতের কেউ কিছু করছে কি-না তা নজরদারি করা হচ্ছে। যেকোন ধরনের অরাজক পরিস্থিতি মোকাবেলায়ও পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানিয়েছেন, হেফাজতের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের উপর তাদের নজরদারি চলছে। তাদের মধ্যে কেউ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাচ্ছে কি-না তার ওপরও সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। যাতে করে কেউ জ্বালাও-পোড়াও করতে না পারে-এজন্য প্রতি থানায় বিশেষ টিমের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও মাঠে রয়েছে। নাশকতা করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

২৮ মার্চ দেশে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে হরতালসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। সিলেট নগরীসহ সিলেট বিভাগের সর্বত্র ব্যাপক শোডাউন করেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। সিলেটে বড় ধরনের কোন সহিংসতা না হলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় হতাহত, অগ্নিকান্ড ও হামলার ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। সম্প্রতি হেফাজতের বহুল আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হক, জুনায়েদ আল হাবিব, ফয়জুল হক ইসলামাবাদীসহ শীর্ষ পর্যায়ের ১৩ জন গ্রেফতার হন। যাদের সকলেই বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে রয়েছেন। পুলিশি ধর-পাকড়ের পর সিলেটের কোথাও কোন মিছিল – সমাবেশ না করলেও ছাতকে মিছিল করে হেফাজত। এতে পুলিশের সাথে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনাও ঘটে। এর আগে ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও- এ রিসোর্ট কান্ডের পর ওই রাতে ছাতকে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেন। এক পর্যায়ে ছাতক থানায় হামলার ঘটনাও ঘটে। এতে ৭ পুলিশ সদস্য আহত হন।

গত ১৫ মার্চ সোমবার দিরাই স্টেডিয়ামে শানে রিসালাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে হেফাজতের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী, যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক, জুনাইদ আল হাবিবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। লক্ষাধিক লোকের এই সমাবেশের পর ঐ রাতেই পার্শ্ববর্তী শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোওয়াগাঁওয়ের ঝুমন দাস আপন (২৪) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেন। এতে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। স্থানীয় মুসল্লিরা ঐ রাতেই বিক্ষোভ করে ঝুমনের গ্রেফতার দাবি করেন।

স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাতেই পুলিশ ঝুমনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু, এতেও ক্ষান্ত হননি এলাকার লোকজন। ১৭ মার্চ সকালে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে কয়েক হাজার লোক জড়ো হয়ে নোওয়াগাঁয়ে হামলা চালানো হয়। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৮৯টি ঘর ও ৮টি মন্দির ভাঙচুর করা হয়। বিষয়টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে আসে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল বাদী হয়ে ১৮ মার্চ শাল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৭)। একই দিন থানার এসআই আব্দুল করিম বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৬)। বকুল চেয়ারম্যানের করা মামলায় পার্শ্ববর্তী সরমঙ্গল ইউনিয়নের সদস্য ও যুবলীগ নেতা স্বাধীন মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। উভয় মামলায় অজ্ঞাত ১৪০০ থেকে ১৫০০ জনকে আসামী করা হয়।

এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার দায়ে শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করে ৭ এপ্রিল বরিশাল রেঞ্জে ও দিরাই থানার ওসি আশরাফুজ্জামানকে মৌলভীবাজারে বদলি করে পুলিশ সদর দপ্তর। ঘটনা পর র‌্যাবের মহাপরিচালক, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় টিম নোওয়াগাঁও পরিদর্শনে আসেন।

সূত্র জানায়, এসব কারণে এ সকল এলাকার দিকে কঠোর নজরদারি রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা গেছে , সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় জেলা কমিটি ও ৩৯ উপজেলায় উপজেলা কমিটি করেছে হেফাজতে ইসলাম। এছাড়াও রয়েছে সিলেট মহানগর কমিটিও। ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন হেফাজত নেতারা। এজন্য তৃণমূল পর্যায়ে বেশ কার্যক্রমও চালানো হয়েছিল। হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের ধরপাকড়ে সিলেটে নেতাকর্মীরা রাস্তায় নামতে পারেন এমন আশঙ্কা ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এজন্য প্রস্তুতিও নেয়া হয়।

আরও পড়ুন : ১০ লাখ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল হ্যাক করে টাকা কামাচ্ছিল হ্যাকাররা

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..